জোর করে বৃদ্ধের চুল-দাড়ি কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় বৃদ্ধ হালিম উদ্দিন আকন্দকে (৭০) ধরে জোর করে চুল-দাড়ি কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হালিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে মো. শহীদ মিয়া আকন্দ থানায় বাদী হয়ে ‘হিউম্যান সার্ভিস বাংলাদেশের’ ব্যক্তিসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যারা চুল কেটেছিল, তারা মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটর। থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মামলার বাদী শহিদ মিয়া আকন্দ বলেন, আমার বাবা কারো সঙ্গে কখনো অন্যায় করেনি। চুল-দাঁড়ি ছোট রাখবেন, নাকি বড় রাখবেন- এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার বাবার সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা অন্যায়। আমরা এর বিচার চাই।
হালিম উদ্দিন আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, জোর করে ধরে আমার চুল ও দাড়ি কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি চেষ্টা করেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। আমি তাদের বিচার চাই।
হালিম উদ্দিন আকন্দ তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উন্মাদ, পাগল বা মানসিক বিকারগ্রস্ত নন। সংসার জীবনে তিনি ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জনক। হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহ্ পরান (র.) এর ভক্ত তিনি। একসময় তিনি কৃষিকাজ করতেন। কিন্তু এখন ‘ফকিরি’ হালে থাকেন। নানা স্থানে ঘুরে বেড়ান। দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ মাথার চুলে ছিল জট। তিনি এলাকায় হালিম ফকির হিসেবে পরিচিত।
‘হিউম্যান সার্ভিস বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের লোকজন ওই বৃদ্ধের চুল কেটে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেন। ঘটনাটি গত কোরবানির ঈদের আগে উপজেলার কাশিগঞ্জ বাজারে ঘটলেও সম্প্রতি এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়। এতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।